আফসানা মিমির বানানো প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘অফ দ্য মার্ক’

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি অভিনয়ের নতুন মাধ্যম ওটিটিতেও কাজ করছেন। ওটিটিতে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছে। এবার নব্বই দশকের এই তারকাকে ওটিটিতে নির্মাতা হিসেবে দেখা যাবে। প্রথমবারের মতো তিনি বানালেন ওয়েব ফিল্ম।

অফ দ্য মার্ক নামের এই ওয়েব ফিল্ম আজ বৃহস্পতিবার আইস্ক্রিনে মুক্তি দেওয়া হবে। এতে অভিনয় করেছেন বাগেরহাট এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোর। খবরটি নিশ্চিত করেন আফসানা মিমি।

বেশির ভাগ কনটেন্টের ক্ষেত্রে গল্পের নায়ক অপরিচিত কাউকে রাখতে দেখা যায় না। সেখানে যেন ব্যতিক্রম পথে হাঁটলেন আফসানা মিমি। তিনি তাঁর এই ওয়েব ফিল্মের প্রধান চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছেন ১৪ বছরের এক কিশোরকে, যাকে এর আগে কখনোই অভিনয়ের ত্রিসীমানায় দেখা যায়নি। বাগেরহাটের এই কিশোরের অভিষেক ঘটবে কাল, আফসানা মিমি পরিচালিত প্রথম ওয়েব ফিল্ম দিয়েই।

এ বছরের শুরুর দিকে ‘অফ দ্য মার্ক’ ওয়েব ফিল্মের শুটিং শেষ হয়। এই ওয়েব ফিল্ম প্রসঙ্গে আফসানা মিমির ভাষ্যটা এ রকম, ‘প্রাথমিক ভাবনা ছিল, চ্যানেল আইয়ের জন্য একটা কাজ করব। গল্প তৈরি হওয়ার পর গল্পের সম্ভাবনার জায়গায় দাঁড়িয়ে মনে হলো, আইস্ক্রিনকে মাথায় রেখে কাজটা করি। সেভাবেই এগিয়ে যাওয়া।

মিমির নতুন এই নির্মাণের প্রধান চরিত্র আবর্তিত হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরকে ঘিরে, যে এর আগে কখনোই অভিনয় করেনি। বাগেরহাটের একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে এই কিশোর। তার নাম আরহাম। তার বাবা বাগেরহাটের রুদ্র থিয়েটারের সদস্য।

কীভাবে এই কিশোরকে খুঁজে পেলেন, জানতে চাইলে মিমি বলেন, ‘গল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর লোকেশন খুঁজতে বাগেরহাট যাই। সেখানেই খুঁজে পেলাম কনটেন্টের প্রধান চরিত্রের কিশোরকে। গল্পটা ১৪ বছরের এক কিশোরের স্বপ্নপূরণের এবং স্বপ্নের সাথি মায়ের যুদ্ধের। বাগেরহাট শহরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বন্ধুরা, শহরের সুধীজনেরা, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, সবার অনুপ্রেরণায় ও সার্বিক সহযোগিতায় কাজটা শুরু হয়। এতে অভিনয় করেছেন বাগেরহাট ও ঢাকার বিভিন্ন থিয়েটার দলের অভিনয়শিল্পীরা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আহামরি বা অভিনব কিছু বানাচ্ছি, তা বলব না। খুব সাধারণ একটা গল্প খুবই সাধারণভাবে বানাচ্ছি।’

অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনার কাজটি করতে গিয়ে আফসানা মিমিকে দেশের নানা প্রান্তে যেতে হয়েছে। দেশের বাইরেও অনেক শুটিং করেছেন। তবে অফ দ্য মার্ক দিয়ে প্রথমবার বাগেরহাটে শুটিং করলেন মিমি।

জানালেন, এই এলাকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ পুরোনো। আত্মীয়দের অনেকের বসবাস এ অঞ্চলে। শুটিং লোকেশন বাগেরহাট বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে মিমি বলেন, ‘কারণ, গল্পটা একটা নিরিবিলি ছোট শহরের। তা ছাড়া বাগেরহাট এমনিতেও আমার প্রিয় শহর। সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, এই শহরে কাজটা সুন্দরভাবে করা সম্ভব। হয়েছেও তা-ই।’