আনিস মাহমুদকে ভূমিসন্তানের সম্মাননা স্মারক উপহার

চতুর্থ বারের মতো দৈনিক প্রথম আলো‘র দেশসেরা আলোকচিত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আনিস মাহমুদকে সম্মাননা স্মারক উপহার দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের টিলাগড় ইকোপার্ক এলাকায় তার হাতে এ স্মারক তুলে দেন ভূমিসন্তান সদস্যরা।

এ সময় তারা বলেন, ‘আনিস মাহমুদ ফটোগ্রাফি সাংবাদিকতার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সচেষ্ট। দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুলকে দেশ-বিদেশে পরিচয় করিয়ে দিতে তার অবদান অনন্য। একইসাথে বিশেষ প্রকৃতির এই বন রক্ষা এবং সিলেটের অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।’

ভূমিসন্তান বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক আশরাফুল কবির বলেন, ‘পরিবেশসচেতন প্রতিটি মানুষই সৃজনশীল। আনিস মাহমুদ তাদেরই একজন। তিনি কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন বারবার। তিনি দক্ষতা-যোগ্যতার মূল্যায়ন পেয়েছেন নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে। তার এ অর্জনে আমরা আনন্দিত।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’র সংগঠক দ্বোহা চৌধুরী, শুয়াইবুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি অধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘প্রাধিকার’র সভাপতি মো. মাহাদী হাসান, সংগঠনটির রেসকিউং টিম লিডার ইসহাক হাসিব, অফিস সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সাজিন, নির্বাহী সদস্য নুসরাত জাহান তন্নি, সদস্য রিদু, সাবরিনা সরকার নিশা, এএফএম আব্দুল্লাহ, হিরামণ অ্যানিমেল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মামিয়াত চৌধুরী, প্রাণিপ্রেমি সাব্বির হোসেন, টিলাগড় ইকোপার্কের এনিম্যাল কিপার মো. মাসুদ হাওলাদার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদযাপন ও প্রতিষ্ঠাবা‌র্ষিকী অনুষ্ঠানে আনিস মাহমুদের হাতে দেশসেরা আলোক‌চিত্রীর পুরস্কার তুলে দেন প‌ত্রিকার সম্পাদক ম‌তিউর রহমান। এর আগে আনিস মাহমুদ ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালে প্রথম আলোর দেশসেরা আলোক‌চিত্রীর পুরস্কার পান।

আনিস মাহমুদ ২০১০ সাল থেকে প্রথম আলো সিলেট কার্যালয়ের আলোক‌চিত্রী হিসেবে কাজ করে আসছেন। শুরু থেকেই তিনি সিলেটের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছবি তুলে দেশ-বিদেশে আলেচিত হন। রাতারগুল জলার বনসহ সিলেটের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিচিত পায় তার তোলা ছবির মাধ্যমে।

২০১৪ সালে সিলেটে কয়েকজন তরুণের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা পরিবেশাবাদী সংগঠন ‘ভূমিসন্তান বাংলাদেশ’ এর অন্যতম সংগঠক আনিস মাহমুদ।