ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরিতে দুইশো পেরুলো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে এক ক্লাসেন ছাড়া মিলারের সাথে জুটি গড়ার কেউ ছিলোনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০১ রান করেছেন মিলার। তাছাড়া ৪৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। অজিদের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাভুমাকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক। উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৪ বল খেলে কোনো রান করতে পারেন নি। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ডিক ককও। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই ওপেনার সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুই নম্বরে। তবে আজ ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে।
এর পর রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে তোলার। তবে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও। ডুসেন ৩১ বলে করেছেন ৬ রান। আর মার্করাম ২০ বলে করেছেন ১০ রান। প্রথম ৪ উইকেট সমান ভাবে ভাগাভাগি করেছেন স্টার্ক ও হ্যাজলউড।
২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রোটিয়াদের খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার যখন জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তখন ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ১৪তম ওভার শেষে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
বৃষ্টির পর ফের ম্যাচ গড়ালে দুজনের ব্যাটে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় দল। ৩১তম ওভারে ক্লাসেন বিদায় নিলে ভাঙে ৯৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। হেডের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ বলে ৪৭ রান। এর পরের বলেই ফিরেছেন মার্কো জানসেনও।
দুই বলে দুই উইকেট হারানোর পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে আবারও ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোয়েটজে। ৩৯ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি।
এক পাশে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিলার। ১১৪ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি। অবশ্য সেঞ্চুরি তুলে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১৬ বলে ১০১ রান করে ফিরেছেন তিনি।
শেষদিকে কেশব মহারাজ-কাগিসো রাবাদারা দ্রুত ফিরলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয় প্রোটিয়ারা।