অবিলম্বে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার স্বার্থে বিদেশে পাঠাতে হবে : আরিফ

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। কিন্তু সরকার নানা অজুহাতে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এইভাবে আন্দোলন করে নেত্রীকে মুক্ত করা যাবে না।

তিনি বলেন, সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে লাভ নেই, দাবী আদায় করে নিতে হবে। এখন আর নরম কর্মসূচি দেয়ার সময় নেই, রাজপথে গরম কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। না হলে দেশের মানুষ এই স্বৈরশাসকের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার স্বার্থে বিদেশে পাঠাতে হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অনশন কর্মসূচি পালিত হয়।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার, চিকিৎসার অধিকার এমনকি কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আমরা এমনই একটি দেশে বাস করছি। তাই বিএনপি জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নেমেছে। দেশে গণতন্ত্র, ভোটারধিকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি একদফা আন্দোলন করছে। এই অধিকার শুধু বিএনপির নয়, সকল দেশবাসীর। স্বৈরাচারের সময় ফুড়িয়ে এসেছে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, শুধু অনশন করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে পতন করা যাবে না। শেখ হাসিনা খুবই হিংসুক, না হলে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে হিংসামূলক বক্তব্য দিতেন না। মাঠে চুড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসা নিশ্চিত এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরে যাবে না।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুল গাফফার, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদি ও নজিবুর রহমান নজিব। অনশনের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা নুরুল হক।

অনশন কর্মসূচিতে জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, একেএম তারেক কালাম, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, নজমুল হোসেন পুতুল, গোলাম রব্বানী, হাজী আব্দুন নুর চেয়ারম্যান, ইকবাল আহমদ, সামিয়া বেগম চৌধুরী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল হাকিম চৌধুরী, সুরমান আলী, কামরুল হাসান শহিন, মাহবুব কাদির শাহী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মো. আমির হোসেন, নিহার রঞ্জন দাস, তাজরুল ইসলাম তাজুল, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সুয়েব, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, এড. মোমিনুল ইসলাম মোমিন, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, মূর্শেদ আহমদ মুকুল, আক্তার রশিদ চৌধুরী, নেওয়াজ বক্ত তারেক, আব্দুল আহাদ খান জামাল, এড. সাঈদ আহমদ, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মোর্শেদ, এড. মুজিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন, শামীম আহমদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এড. আল আসলাম মুমিন, মতিউল বারী খুর্শেদ, আফজাল উদ্দিন, আবুল কালাম, রেজাউল করিম আলো, লল্লিক চৌধুরী, এমএ রহিম, মাহবুবুর রহমান ফয়সল, এডভোকেট কামাল হোসেন, বদরুল ইসলাম জয়দু, এস এম তছলিম আহমদ নেহার, মাসুক আহমদ, মো. মাহবুব আলম, তসলিম আহমদ নিহার, হাজী ডা. আশরাফ আলী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, রুহুল কুদ্দুস চৌধুরী হামজা, লোকমান আহমদ, তাজ মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন, তাহসিন শারমিন তামান্না, এড. মোস্তাক আহমদ, নুমান উদ্দিন মুরাদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, মো. ইলিয়াস, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, মো. জসিম উদ্দিন, ওয়ারিছ আলী, শওকত আলী বাবুল, নার্গিস সুলতানা ডেইজি, তাজ উদ্দিন মাসুম, রেজাউর রহমান রুজন, বাদশা আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, আব্দুল হাকিম, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুর রহিম মল্লিক, মো. লুৎফুর রহমান মোহন, মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু, শোয়াইব আহমদ সোয়েব, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মো. তারেক আহমদ, খায়রুল হক খায়ের, মো. বাচ্চু মিয়া, সবুর আহমদ খান, নাজিম উদ্দীন, মো. মিজান আহমদ, আব্দুল মুনিম, সেলিম আহমদ সেলু, ফখর উদ্দিন পংখি, রাজন মিয়া, শাহজাহান মিয়া, আলী আহমদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, কাজী মুহিবুর রহমান, চান মিয়া বাচ্চু, আজহারুল হক মন্টু, মির্জা সম্রাট, আফসর খান, আব্দুল আহাদ, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, সুলতানা রহমান দিনা, দেলোয়ার হোসেন দিনার, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান, ইসমাইল হোসেন সেলিম, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খাঁন, আক্তার হোসেন রাজু, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, ডা. এনামুল হক, সারোয়ার হোসেন, আব্দুল মুনিম,, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, তামিম ইয়াহিয়া, ইসলাম উদ্দিন, নুরুল আমিন দুলু, আব্দুর রহমান, জসিম উদ্দিন, তোফায়েল আহমদ সুহেল, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, নাজমুল আলম, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, সুহেল ইবনে রাজা, ফয়েজ উদ্দিন মুরাদ, সাব্বির আহমদ, রফিকুল ইসলাম রফিক, রাজীব কুমার দে, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, নজরুল ইসলাম, মিনহাজ পাঠান, আব্দুস সবুর রাসেল, রুবেল বক্স, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, আলমগীর হোসেন, এ এস এম সায়েম, আব্দুল মালিক সেকু, সুলতান আহমদ, জমজম বাদশা, আবুল হাসেম জাকারিয়া, দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী, আজিজ খান সজীব, তোফায়েল আহমদ, হোসেন আহমদ, সোলেমান আহমদ সুমন, আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান জুয়েল, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, সাফিয়া খাতুন মনি, আলী আকবর প্রমুখ।

অনশন কর্মসূচিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন উপজেলা, পৌর ও মহানগরীর ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচি শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।