ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমাদের পথ অনুসরণ করে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন নেইমার।
যে কারণে, সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলকেই বিদায় বলে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই ‘রাজপুত্র’।
নেইমারকে পেতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে আল হিলালকে। আরএমসি স্পোর্টসের খবরে বলা হয়েছে, নেইমারকে দলে টানতে ৯ কোটি ইউরো (৬ কোটি এবং ৩ কোটি ভ্যারিয়েবলস) খরচ করতে হচ্ছে তাদের। তাছাড়া দুই বছরে নেইমরকে ১৬ কোটি ইউরো (১৬০ মিলিয়ন) বেতন দেবে ক্লাবটি।
এ বিষয়ে ট্রান্সফার মার্কেট গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো টুইট করেছেন, নেইমারের শারীরিক পরীক্ষার জন্য চলছে আয়োজন। উভয়পক্ষের সম্মতিতে কাগজপত্রও প্রস্তুত। এ সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্যে উড়াল দিবেন তিনি।
ওই টুইটে আল হিলালে নেইমারের শার্ট নম্বরও প্রকাশ করেছেন রোমানো। পিএসজির মতোই ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলবেন তিনি।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে রেকর্ড ২২ কোটি ২০ লাখ ইউরোতে (২২২ মিলিয়ন) বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমান নেইমার। ঠিক তার আগের মৌসুমগুলোতে বার্সায় মেসির উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হচ্ছিল তাকে। কিন্তু অর্থ আর খ্যাতির তাড়নায় কাতালুনিয়া ছেড়ে প্যারিসের ক্লাবটিতে নাম লেখান তিনি।
তবে বার্সেলোনা ছাড়ার পরপরই নিজের ভুল বুঝতে পারেন নেইমার। পরের মৌসুম থেকেই প্রতিবছর ক্যাম্প ন্যু’তে ফেরার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে আর ফিরে আসা হয়নি তার।
অন্যদিকে রেকর্ড ফি’তে নেইমারকে দলে টেনেও তার কাছ থেকে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশ হতে হয়েছে পিএসজি কর্তৃপক্ষেরও। সেইসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পিএসজির ক্ষতে নুনের ছিঁটা দিয়েছে বারবার। প্যারিসে ৬ বছরে তিনি মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরের বিষয়ে আলোচনাতেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়।
তার সঙ্গে ছিল নেইমারের ইনজুরি। ক্লাবটির হয়ে তিনি মোট ১১৯টি ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। এই সময়ে তিনি ১৭৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১১৮টি, অ্যাসিস্ট করেছেন ৭৭টি।