গতকালের মতো আজও সিলেট নগরের ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিশেষ এই অভিযানে মূলত সিটি সুপার মার্কেটের প্রত্যেকটি দোকানের সামনে থেকে অবৈধ স্থাপনা যেমন, দোকানের সামনের ত্রিপল, মালামাল ঝুলিয়ে রাখার র্যাক, দোকানের সীমানা দেয়াল ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
কি কারণে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আভিযানিক দলের নেতৃত্বে থাকা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ও ট্রাফিক প্রধান বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, যেখানেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, সেখানেই আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা গতকাল রাস্তাঘাট এবং ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম, তার মূল কারণ ছিল হকারদের তাদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া। এখন যে সমস্যাটি হচ্ছে, হকার মার্কেটে প্রবেশের যে রাস্তা সেটি অত্যন্ত সরু করে রাখা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা দিয়ে। তাই সিটি সুপার মার্কেটে আমরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছি।
অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলেন। এছাড়াও অভিযানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সিসিকের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, তাদেরকে বারবার দোকানের সামনে থেকে জঞ্জাল সরানোর জন্য বলা হলেও গড়িমসি করেছে। এই রাস্তা দিয়ে হকার্স মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতায়াত করে। তাছাড়া সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করে। সর্বোপরি যান চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় এমন স্থাপনা না সরালে হকারদের প্রত্যাবর্তন ফলপ্রসূ হবে না। যে কারণে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে হকারদের সরানো হচ্ছে, সিটি সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সেই একইরকম রাস্তা ও ফুটপাত দখল করলে তো হবে না। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে জনদুর্ভোগ কমবে বলে আমি মনে করি।’