সিলেটের শাহপরাণে দুই ছাত্রের দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিল্লাল আহমদ মুন্সী (৩০) নামের যুবদল কর্মী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে তাঁদের আটক করা হয়। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা যাওয়ার সময় নরসিংদীর একটি এলাকা থেকে রনু মিয়াসহ পাঁচজনকে নরসিংদী পুলিশ আটক করে। রনু মিয়া সিলেট জেলা হিউম্যান হলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
গত সোমবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় বিলাল নিহত হন। তিনি নগরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিলাল পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযোগ ওঠে, যুবদল-ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলাল নিহত হন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় বিএনপির দাবি, হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও জড়িত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিলালের ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা) মহানগরের শাহপরান থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন জমা দিয়েছেন। সেটি নথিভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। লিখিত অভিযোগে ৬ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়েছে। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের হাতে আটক করা ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।