শান্তিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৪৩

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের গণিনগর ষোলোগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪৩জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার গণিগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার গণিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রউফ ও একইগ্রামের ইউপি সদস্য আবদুল আউয়ালের পক্ষের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গনিগঞ্জ ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের অশোভন আচরন এবং একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়াসহ বেশ কিছু অনিয়ম তুলে ধরে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দিয়ে গত ১১ নভেম্বর কর্মবিরতিতে যান ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী। এরপরদিন গত বুধবার অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরোদা রানী রায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এই মতবিনিময় সভা। মতবিনিময় সভায় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। তখন ইয়াছিন মিয়া নামের বহিরাগত একটি ছেলে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে চাইলে আবদুর রউফের ছেলে শামীম আহমদ মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ইয়াছিন মিয়াকে শাসিয়ে দেন। এ ঘটনায় তখনই কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আজ রোববার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে আবদুল আউয়াল পক্ষের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আবদুর রব ও আবদুর রউফ পক্ষের সিএনজিচালিত অটোরিকশা জহিরুল ইসলামের পক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’জন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরক্ষণেই উভয়পক্ষের শতাধিক লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী। ইট, পাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের সংঘর্ষ। তখন দিরাই-মদনপুর যানচলাচল বন্ধ ছিলো। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৪৩ জন আহত হয়েছেন।

শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’