শনিবার সকাল থেকেই তীব্র তাপদাহে পুড়ছিল সিলেট। গরমে অতীষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সিলেট নগরসহ পুরো জেলাতে একই সঙ্গে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় সিলেটের জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটে,এবং সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে জৈন্তাপুর সদর ইউনিয়নের আগফৌদ ও ভিত্রিখেল এলাকায় পৃথকভাবে দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নন মনই (৪৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে।
এদিকে জেলার কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে কালা মিয়া (২৮)। তিনি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। অপরজন উপজেলার ধলইমাটি এলাকার বাসিন্দা নূর উদ্দিন (৬০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
এদিন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামে আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের উপজেলার ৪নং বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে সিরাজপুর চরপারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তখন বাড়ির পাশের জমি থেকে শুকনা লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হন দ্বীন ইসলাম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাদাঘাট বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বজ্রপাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউসার আলম জানান, পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় আইন প্রক্রিয়া শেষে বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যাক্তির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।