জগন্নাথপুরে ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশোডিং, ভোগান্তি চরমে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রচন্ড গরমে গত তিন ধরে বিদ্যুতের এমন অবস্থার কারণে মানুষজন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। বিপাকে পড়েছেন বিদ্যুতের উপর নির্ভশীল ব্যবসায়ী, ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়,গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। এর পর থেকে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও পরের এক ঘন্টা লোডশেডিংয়ের আওতায় থাকছেন গ্রাহকরা। প্রচন্ড গরমের মধ্যে এই লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে প্রতিদিন গড়ে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পাচ্ছে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর একারণেই রাত হতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে আনলে ঘাটতি পূরণের জন্য একঘন্টা পরপর লোডশেডিং শুরু হয়।

ব্যবসায়ী সুবেশ দেবনাথ বলেন, এক ঘন্টা পর পর বিদ্যুতের লোডশেডিং এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে ঠিকমতো ঘুমানো যাচ্ছে না। যাদের ঘরে অসুস্থ রোগী রয়েছেন তাদের দুর্ভোগের সীমা নেই।

ব্যবসায়ী রাজ দাশ বলেন, এক ঘন্টা পরপর বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জগন্নাথপুর আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসের আরি আজাদ বলেন, ২৫ হাজার গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন গড়ে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকলেও এখন ৩ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে এক ঘন্টা পরপর লোডশেডিং করে ঘাটতি মোকাবেলা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে সরবরাহ কমানো হয়েছে এমনটি জাতীয় গ্রিড থেকে জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। লোডশেডিং কমানোর জন্য একটি কমিটি হয়েছে।