সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দরের পাথর আমদানিকারক গ্রুপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ ও আব্দুল করিম রাসেলের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান ও অপপ্রচার এবং তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসা বন্ধের পাঁয়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় তামাবিল স্থলবন্দর পয়েন্টে ব্যবসায়ী নেতা শহীদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান, মিসবাউল আম্বিয়া, রফিকুল ইসলাম, তামাবিল স্থল বন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, নলজুড়ি অগ্রগ্রামী যুব সংঘের সদস্য আবুল কাশেম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম আহমদ, নলজুড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য ইয়াছিন উদ্দিন, তামাবিল মম্যানেজার স্টাফ এন্ড গ্রুপের হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রি মহল নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসা বন্ধ করার পায়তারা করছে। পাশাপাশি তামাবিল পাথর আমদানিকারক গ্রুপের আসন্ন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ফারুক ও রাসেলের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ কয়েকটি গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
বক্তারা আরও বলেন, তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে কখনোই কোন অবৈধ জিনিসপত্র আমদানি করা হয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ফারুক ও রাসেল অস্ত্র আমদানি করে সরবরাহ করেছেন বলে একটি কুচক্রি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।
মানববন্ধনে বক্তারা কুচক্রী মহলের এমন অসত্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে তারা তামবিলের ব্যবসায়ীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, অপপ্রচার স্থলবন্দর বন্ধ করার পাঁয়তারা কারীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ব্যবসায়ী নেতারা হুশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতা জাহিদ খাঁন তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, তামাবিল পাথর আমদানি কারক গ্রুপের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল করিম রাসেল দেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ফারুক অস্ত্র আমদানি করে সরবরাহ করে এবং বিগত বছর গুলোতে আওয়ামী সমর্থকদের সমন্বয়ে এবং তামাবিল ব্যবসায়ী গ্রুপের দায়িত্বে থাকার সুবাদে ফারুক ও রাসেল তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সুবিধা নিয়েছে।