সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী নদীপথে কানাইঘাট উপজেলার বন্যা দূর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) সকালে সংসদ সদস্য হুছামুদ্দীন চৌধুরী উপজেলার ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কাড়াবাল্লা সুরমা বাজার পরিদর্শন করে বাজারের উন্নয়নসহ ওই এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও অবকাটামোগত উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশস্থ করেন। এরপর লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সুধি সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের ভাতাভোগী প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ভাতার বই প্রদানসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রানের চাল, হাইজিং সামগ্রী বিতরন করেন তিনি।
এছাড়া সাংসদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম, কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের গৌরীপুর সুরমা ডাইক ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা নৌকা যুগে নদীপথে ঘুরে সুরমা নদীর ভাঙ্গন কবলিত ডাইকগুলো দেখেন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
এসময় সংসদ সদস্য হুছামুদ্দীন চৌধুরী উপকার ভোগীদের মধ্যে ভাতার বই প্রদান এবং ত্রান সামগ্রী বিতরণ কালে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দূযোর্গের কারণে উজান থেকে নেমে আসা আকষ্মিক পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আমার নির্বাচনী এলাকা কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ ৩ দফা বন্যায় ব্যাপক হারে রাস্তা-ঘাট, বাড়ী-ঘর, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বার বার সিলেট অঞ্চলে কেন বন্যা হচ্ছে এ নিয়ে বাস্তব প্রদক্ষেপ গ্রহণসহ আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য এবং নদী ভাঙ্গনে বাস্তব প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে সুরমা ও লোভা নদী খননসহ সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ডাইকগুলো টেকসই বাঁধ নির্মানের জন্য মহান সংসদে বার বার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বক্তব্য রাখছি। আশাকরি, সংশিলষ্ট কতৃপক্ষ আমার প্রস্তাব আমলে নিবেন। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরেছি আমি। পানি কমার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ স্থান এবং ভাঙ্গন কবলিত ডাইকগুলো মেরামত করা হবে বলে জানান।’
এ সময় তার সাথে জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা আল ইসলাহ ও তালামীযে ইসলামিয়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।