জগন্নাথপুরে সরকারি বিদ্যালয়ের পুরাতন মালামাল গোপনে বিক্রির চেষ্টা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পৌর এলাকার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরোনো জিনিসপত্র রাতের অন্ধকারে গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। রাতে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা মালামালসহ গাড়ি আটক করেন পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে ২০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গেল মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরোনো চেয়ার , টেবিল, সেলাই মেশিন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারের বেশ কয়েকটি টেবিল একটি পিকআপ ভ্যান দিয়ে বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেন জনতা।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহার আলী বলেন, সরকারি মালামাল নিলামে বিক্রি করলে সরকার লাভবান হতো, প্রধান শিক্ষক রাতের আঁধারে গোপনে বিক্রি করে মালামাল গাড়িতে তুলার সময় আমরা দেখতে পেয়ে গাড়ি আটক করি। এই মালামাল মাত্র ৯ হাজার টাকায় পিকআপ ভর্তি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়েছিল। গাড়িটি আটকের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাতেই উপস্থিত কয়েকজনের সামনে ২০ হাজার টাকায় মালামাল বিক্রি করা হয়। তবে আগে ঘোষণা দিয়ে দিনের বেলা নিলাম ডাকা হলে আরও বেশি দাম পাওয়া যেত।

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, এসব মালামালের নিলামে বিজ্ঞপ্তি হয় না। এসব একদম পরিত্যক্ত মালামাল।।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল বশিরুল ইসলাম বলেন, রাতের আঁধারে স্কুলের মালামাল পিকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ জনতা আটক করেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব মালামাল নিলাম ডেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হবে।