সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবিতে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলসি পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৩ জুন) দুপুর ১২ঘটিকায় সিলেট ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপ কার্যালয়ের সামনে হাজার হাজার শ্রমিকদের উপস্থিতে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘যুগযুগ ধরে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর এলসি ঘাট এলাকায় চলছে ক্রাশার মেশিন ও পাথর ব্যবসা। হঠাৎ করে সরকার এখানে স্থলবন্দরের কাজ শুরু করে ক্রাশার মেশিন ও পাথর ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের যে উদ্যোগ নিয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এলসি ঘাট এলাকায় স্থলবন্দর করতে হলে আগে এখানের শতশত ক্রাশার মেশিন ও পাথর ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের স্থায়ীয় পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রাম হেমার শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখলাছ আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিমুল ইসলাম আঙুর, সহ-সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার মাহমুদ রিপন, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার পারভেজ, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের সদস্য কাওছার আহমদ, আক্তারুজ্জামান নোমান, আতাউর, মুজিব মেম্বার, শানুর, হেমার শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি চান নিয়া, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কয়ছর আহমদ, প্রচার সম্পাদক রুকন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন, চান মিয়া,সুন্দর আলী, সায়েদ আহমদ, কয়েস আহমদ, ইউসুফ, আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যুগযুগ ধরে এলসি ঘাট এলাকায় চলমান ক্রাশার মেশিন ও পাথর ব্যবসা উচ্ছেদের আগে স্থানান্তরের স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ৫০ হাজার শ্রমিকরা বেকার হয়ে পরবে। দেখা দিবে চরম মানবিক বিপর্যয়। উচ্ছেদ অভিযানের কারণে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী লোকজন তাদের রোজগার বন্ধ হওয়ার আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়বে।
তাই কোন রকম স্থায়ী পুনর্বাসন ছাড়া এসব পাথর ভাঙ্গার মেশিন উচ্ছেদ হলে এ পেশার সাথে সংশ্লিষ্টরা রোজগার থেকে বঞ্চিত হবে। শ্রমিকরা তাদের স্থায়ী স্থানান্তরের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।