সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বাড়লেও এখনো প্লাবিত হয়নি নিম্নাঞ্চল

সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বিপদৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর পানি।

হাওর জলহীন থাকার কারণে হাওরের মধ্যে পানি প্রবেশ করছে। সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবার শঙ্কা রয়েছে।

এছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে অধিক বৃষ্টিপাত হলে সুনামগঞ্জে বন্যা দেখা দিতে পারে। অন্যথায় সুনামগঞ্জ জেলা এখন পর্যন্ত বন্যার শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার শঙ্কামুক্ত বললেও সিলেটের বন্যা ও পানি বৃদ্ধিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের মানুষের মধ্যে।

আশার কথা হল, বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে সুরমা নদীর পানি তেমন বৃদ্ধি পায়নি।

সুনামগঞ্জ শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা বায়জিদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত পানি আসেনি। শহরে প্রথম আমাদের এলাকা দিয়েই পানি ঢুকে কারণ আমরা একদম সুরমা নদীর পাড়ে থাকি। তবে যেভাবে পানি বাড়ছে আর দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে শহরে পানি ওঠে যাবে। চিন্তা করছি যদি ২০২২ সালের মত এবারও পানি আসে তা হলে পথে বসে যাব।’

শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ আলম বলেন, ‘পানি এখনও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে তা হলে কি হবে জানি না। সুরমা নদীর পানি এখনও অনেক নিচে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ‘সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা কম। এখন পর্যন্ত পানি বিপদৎসীমার নিচে আছে। আগের তুলনায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় বৃষ্টিপাতের কারণে স্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্বি পায়। দেখা যাক আগামী দুয়েক দিনে কী হয়। সিলেটের মত ভারী বন্যার আশঙ্কা দেখছি না। কারণ এখনও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়নি।