সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) দুই দিনব্যাপী ‘এক্রিডিটেশনের লক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের সাথে পাঠ্যক্রম অভিযোজন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ ও ২৭শে মার্চ (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সরকার মো. ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় ও পরিচালক অধ্যাপক ড. পীযূষ কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা।
প্রশিক্ষণে ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, সিলেট আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম এবং আইকিউএসি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. পীযূষ কান্তি সরকার।
দুই দিনব্যাপি এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপকসহ ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জন শিক্ষককে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে সকল প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, “বিএনকিউএফ হল একটি আন্তর্জাতিকভাবে বেঞ্চমার্ক জাতীয় উপকরণ যা দক্ষতা, জ্ঞান এবং মনোভাবের বিকাশ, শ্রেণীবিভাগ এবং স্বীকৃতির জন্য সম্মত স্তরের ধারাবাহিকতা। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে এটি একটি মৌলিক হাতিয়ার। এক্রিডিটেশন পাওয়ার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। আমাদের যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম নির্ধারণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।”
প্রশিক্ষণ নিয়ে আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. পিযুষ কান্তি সরকার বলেন, “কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চ শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করন জরুরী। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সনদ যেন দেশে-বিদেশে সঠিক মুল্যায়িত হয়, সে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ দারা অনুমোদন লাভ অপরিহার্য। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।”
এদিকে আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সরকার মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, “আমাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি গত জুন মাস থেকে শুরু হয়ে ২৭ ও ২৮ মার্চের মধ্যে শেষ হলো। বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের এক্রিডিটেশন পাওয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার কি দায়িত্ব, কি কি কাজ করতে হবে সে সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। আশা করা যায়, সবাই সে লক্ষ্যে কাজ করলে আমরা দ্রুতই এক্রিডিটেশন জন্য আবেদন করতে পারব ও এক্রিডিটেশন পাব।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১২ই মার্চ (রবিবার) দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো’ বা বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস ফ্রেমওয়ার্ক (বিএনকিউএফ)। সেই থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দক্ষতা যোগ্যতা কাঠামোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাইলে একটি শিক্ষা-ব্যবস্থা থেকে আরেকটিতে তার অর্জন অক্ষুণ্ণ রেখেই স্থানান্তরিত হতে পারছে। দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কাঠামো বজায় রেখে জ্ঞান, দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন, শ্রেণিবিন্যাস ও স্বীকৃতিকে সর্বসম্মতভাবে কয়েকটি আপেক্ষিক স্তরে সমন্বয় করতে পারছে। এ কাঠামোর ফলে দেশে ১০টি স্তরে উচ্চশিক্ষা, সাধারণ, কারিগরি, মাদ্রাসা শিক্ষার কার্যকর সমন্বয় ও আন্তঃসংযোগের ব্যবস্থা রয়েছে।