গ্রামীণ টেলিকমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জবর দখলের বিষয়ে বিচারের ভার দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক তাদের আটটি প্রতিষ্ঠান জবর দখল করে নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের মতো করে চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইলেও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। দেশের মানুষের কাছে এর বিচারের ভার দেন তিনি।
নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, মামলা হোক। আদালতে আমাদের অনেক মামলা চলমান। সেভাবে আমরা মোকাবিলা করবো। কিন্তু জবরদখল কেন! দেশের মানুষের কাছে বিচারের ভার দিলাম। পুলিশের কাছে আমরা সহযোগিতা চেয়ে পাইনি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘ওই দিন থেকে তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে তখন কেমন লাগার কথা আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না। আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।’
তিনি দেশবাসীকে বর্তমান অবস্থার ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, এভাবে একটা দেশ চলে কি করে? যেখানে নিজের কথা ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ নেই। শুনেছি, এখানে মিছিল হচ্ছে, ঝাড়ু নিয়ে মিছিল হচ্ছে, কেন হচ্ছে তাও তো বুঝছি না। কবে থেকে ঝাড়ুর যোগ্য হয়ে গেলাম তাও তো বুঝছি না। আমরা তো নিজের ঘরেই আছি, নিজেদের কাজই তো করছি। আমরা যতগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি, সবগুলোর অফিস এখানে। এখানে সবগুলো প্রতিষ্ঠানই দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি সারাদেশে, নার্সিং কলেজ হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সফলতার মুখ দেখছে, তখন এমন কি হলো যে, বাইরের কিছু লোক এসে বলবে যে, আপনারা এখান থেকে যান, এটা আমাদের অফিস। এটা আমি বুঝতে পারছি না।
ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর কাছে আমার ফরিয়াদ, আমরা কোথায় যাব, কী করব? কাকে দুঃখের কথা বলব? পুলিশ তো আমাদের কোনো কথা শুনছে না। তাহলে আমরা কার কাছে যাব তাহলে?