মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও সামরিক জান্তা বাহিনীর মধ্যে বিরতিহীনভাবে চলছে সংঘাত-সংঘর্ষ। এমন বাস্তবতায় মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ও থাইংখালী এলাকায় চারজন এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
কক্সবাজারের আহতরা হলেন- পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকার আয়ুবুল ইসলাম, রহমতেরবিল এলাকার আনোয়ার হোসেন, পুটিবনিয়া এলাকার মোবারক হোসেন ও মো. কালা।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও মোবারকের অবস্থা গুরুতর। এখনো গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে সৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি আহত হন। গোলাগুলির কারণে নিজ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি প্রথমে গাছে লাগার পর সৈয়দ আলমের কপালের পাশ দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত বিজিপি ও অন্যান্য বাহিনীর ২৬৪ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দুইজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।