মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিরতিহীনভাবে চলছে সংঘাত-সংঘর্ষ। আরাকান আর্মি ও সামরিক জান্তা বাহিনীর টানা গোলাবর্ষণ, মর্টার শেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ কম্পন বাড়ছে সীমান্ত এলাকাজুড়ে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় মুহুর্মুহু ভেসে আসছে গোলাবর্ষণ আর শেলের শব্দ।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের পুরো এলাকার বাসিন্দারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। বান্দরবানে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্য বলছে- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন ও কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারে চলা সংঘাত-সংঘর্ষের শব্দ ভেসে আসছে। এসব এলাকায় এক লাখের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে।
আরও পড়ুন > মিয়ানমারের ২৬৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশটি থেকে ছোঁড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারে বসত ঘরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নিদের্শনা রয়েছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউকে সরানো হয়নি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনো সময় সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।
তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে আনতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন।