মিয়ানমারের ২৬৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ২৬৪ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কোনোভাবেই রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকতে দেব না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এসব কথা জানান।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি মিয়ানমার ইস্যু নিয়েই কাজ করছি। আগামীকাল আমি নিজে কক্সবাজার পরিদর্শন যাব। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ধৈর্য ধারণ করে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীও ধৈর্য ধারণের নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’

নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাসহ অন্যান্য বাহিনীর ২৬৪ জন এসেছে মিয়ানমার থেকে। ২৬৪ জনকেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন আহত ছিল। তাদের মধ্যে ৮ জন গুরুতর আহত ছিল, আহতদের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার ও ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বিজিবির পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই হবে, যোগ করেন তিনি।

সোমবার দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে বিজিবি ডিজি বলেন, মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রটেস্ট নোট দিয়েছি। আজ সকালে মিয়ানমারের ডিএ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই ব্যবস্থার আশু সমাধান করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, ৬৫ জন রোহিঙ্গা নৌকায় করে পানি পথে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সেখানে টেকনাফ বিজিবি তাদেরকে প্রতিহত করে পুশব্যাক করার প্রসেস চলমান রয়েছে। কোনোভাবেই রোহিঙ্গাকে ভেতরে ঢুকতে দেব না।