সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু ভঙ্গুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে আবার পেছনের দিকে ফেলে দেয়। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনো অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮ এর মার্শাল ল’, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিলো অতুলনীয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। এই উন্নয়নের ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, এডভোকেট সালেহ আহমেদ সেলিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দের মধ্যে আজম খান, আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দের মধ্যে, আব্দুর রব হাজারী, ফয়েজ খান পিয়ারা, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, আক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনার, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, আনসার আহমদ কয়েছ, আব্দুস সালাম সাহেদ, মো. ছয়েফ খাঁন ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের মধ্যে সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন, এম.এ খান শাহীন, নজরুল ইসলাম নজু, মো. বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেমিম, বদরুল ইসলাম, গুলজার আহমদ জগলুসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।