চলমান বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিটের তালিকাতে পাকিস্তানের নাম থাকলেও নিজেদের পারফরম্যান্সে সমর্থকদের চূড়ান্তভাবে হতাশ করেছে বাবর আজমরা। ৫ ম্যাচ খেলে মোটে দুটিতে জয় পেয়েছে তারা। এরমধ্যে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচে হেরে সেমির দৌড় থেকে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। হারের বৃত্ত ভেঙ্গে জয়ের ধারায় ফিরতে উড়ন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তারা।
পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য প্রোটিয়াদের। চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় মাঠে নামবে দু’দল।
শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর বড়সড় ধাক্কা খায় দলটি। ১২ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩৮ রানে হেরে বড় অঘটনের শিকার হয় প্রোটিয়ারা। ডাচদের বিপক্ষে হারলেও, ভড়কে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।
পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশকে কোনো পাত্তাই দেয়নি ডি কক-মার্করামরা। দুর্দান্ত ফর্মে আছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তিনশ’র বেশি রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে এক আসরে তিনবার ৩৫০-এর বেশি রান করার রেকর্ডও গড়ে তারা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে আফ্রিকান ব্যাটাররা। এরমধ্যে ৩টি সেঞ্চুরিতে ৪০৭ রান নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষে কুইন্টন ডি কক।
নিজের বিদায়ী বিশ্বকাপটা ভালোভাবেই রাঙাচ্ছেন ডি কক। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আরও একবার জ্বলে উঠার প্রত্যাশায় ডি কক, ‘দলের জন্য যেভাবেই খেলছি, এই ফর্ম ধরে রাখতে চাই। পাকিস্তানের বোলিং লাইন-আপ শক্তিশালী। কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আমাদের। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বোলারদের লাইন-লেন্থ নষ্ট করে আরও একবার বড় স্কোর করতে চাই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তানও। যদিও এরপর পথ হারিয়ে ফেলেছে বাবর আজমরা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ওয়ানডে ক্রিকেটে আফগানিস্তানের কাছে প্রথমবারের মতো হারের লজ্জা পায় পাকিস্তান। হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠার পথ খুঁজছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ব্যাটিং কিছুটা আশানুরুপ হলেও, বোলাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। বিশ্বকাপের মঞ্চে অন্যতম সেরা বোলিং লাইনের অফ-ফর্ম অবশ্যই চিন্তার বড় কারণ।
দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তানের পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৮২বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫১টিতে, পাকিস্তানের জয় ৩০টিতে এবং ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ ওয়ানডেতে দেখা হয়েছিল দুই দলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান। এ ছাড়া বিশ্বকাপে পাঁচবারের দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে তিনবার, পাকিস্তানের জয় দুটিতে। সর্বশেষ দুই দেখায় জয় আছে পাকিস্তানেরই।