সাকিব বিহীন ম্যাচে দুই ওপেনার তামিম ও লিটনের ফিফটিতে ভালো শুরুর পরও ২৫৬ রানে থামতে হলো বাংলাদেশকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনে-তে ভারতের বিরুদ্ধে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পান নাজমুল হাসান শান্ত। পুনের ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। প্রথমে রান তোলায় ধীরগতি থাকলেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দুজনই। প্রথম ৫ ওভারে যেখানে বাংলাদেশের রান ছিল মোটে ১০, সেখানে ১০ ওভার শেষে রান বিনা উইকেটে ৬৩ । দলীয় ৯৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। কুলদীপ যাদবের বলে ৫১ (৪৩) রান করে এলবিডব্লিউ হন তামিম।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটিই তামিমের প্রথম ফিফটি। তবে এই অর্ধশতকের পথে টাইগারদের হয়ে নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন তামিম। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান লিটন-তামিমের ৯৩। এর আগে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের ৬৯ রানই ছিল সর্বোচ্চ। ২৪ বছর পর ৯৩ রানের জুটি গড়লেন লিটন-তামিম।
তামিম ফিরে যাবার পর শান্তর সাথে জুটি বাঁধেন লিটন। তবে খুব বেশিদুর যেতে পারেনি সেই জুটি। দলীয় ১১০ রানে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। করেন ১৭ বলে ৮ রান। মেহেদি হাসান মিরাজও সুবিধা করতে পারেন নি। মোহাম্মদ সিরাজের লেগসাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত ক্যাচে ১৩ বলে ৩ রান করে ফিরে যান মিরাজ। দলের স্কোর ৩ উইকেটে ১২৯।
এর সাথে আরও ৮ রান যোগ করে ফেরেন লিটন দাসও। ৮২ বলে ৬৬ করা লিটন জাদেজার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে ১৩৭ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাওহীদ হৃদয়ও (১৬) বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হলে মুশফিক (৩৮) আর মাহমুদুল্লাহর (৪৬) রানের কল্যাণে আড়াইশো পেরোয় বাংলাদেশের ইনিংস। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান তোলে টাইগাররা।
ভারতের হয়ে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর ও কুলদ্বীপ যাদব।