প্রোটিয়াদের ব্যাটিং-বোলিং তোপে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ৪০০ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমেও বোলারদের সাড়াশি আক্রমণ। সেই বোলিং তোপে রান পাহাড়ে চাপা পড়ে ভরাডুবি হয়েছে ইংলিশদের।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শনিবার বিশ্বকাপের এবারের আসরের ২০তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। সেই সিদ্ধান্তের ফলে আগে ব্যাটিং পাওয়ার সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

শনিবার (২১ অক্টোবর) ওয়াংখেড়েতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ১০৯ রান এসেছে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। জবাবে ২২ ওভারে ১৭০ রানে অল আউট হয় ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্ক উড।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। সুবিধা করতে পারেননি ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকসরাও। এই তিন ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে ফেইল করেছে ইংলিশ মিডল অর্ডারও। তাতে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই ৭ উইকেট হারায় তারা।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও শেষ দিকে মার্ক উড ও গাস এটকিনসন কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। তবে সেটা কেবলই খানিকটা ব্যবধান কমিয়েছে। হার থেকে বাঁচাতে পারেনি।

এর আগে ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু পরের বলেই এই ওপেনারকে ফিরিয়েছেন টপলি। উইকেটের পেছনে বাটলারের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪ রান।

ডি কক দ্রুত ফিরলেও দলকে ভালো শুরু এনে দেন রেজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেন। এই দুজনই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। চারে নেমে এইডেন মার্করামও থিতু হয়ে ফিফটির পথে হাঁটছিলেন। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন তিনি। ৪৪ বলে করেছেন ৪২ রান।

টপ অর্ডার ব্যাটাররা রান পাওয়ায় মিডল অর্ডার ব্যাটাররা স্ট্রাইকরেটে মনযোগী হন। সেই পথে হেঁটে সফল হয়েছেন ক্লাসেন ও মার্কো জানসেন। ক্লাসেন ৬৭ বলে করেছেন ১০৯ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬২। জানসেন তার চেয়েও আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪২ বলে করেছেন অপরাজিত ৭৫ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৭৯ স্ট্রাইকরেটে।