বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে। বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার পরর্বতী ধাপের চিকিৎসা বাংলাদেশে করার ব্যবস্থা- মেশিনারি, জনবল এবং চিকিৎসাক নেই বলে মত দিয়েছে ১৭ জনের সম্মিলিত মেডিকেল বোর্ড।
এ অবস্থায় তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সম্মিলিত মেডিকেল বোর্ড।
বার্ধক্যজনিত কারণে রোগ না, সঠিক চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হয়েছে বলেও জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।
চিকিৎসকরা জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি চিকিৎসা সেন্টারে নিয়ে লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। অন্যথায় বর্তমানে যে চিকিৎসা চলছে তা চললেও তার অনেক মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেন, লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার যেসব গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাতে এখন আর তাদের হাতে কোনো চিকিৎসা নেই।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন।
আবারও অসুস্থ হলে গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লিভার দেশে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। ফলে তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তার লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার কিডনি, হৃদ্যন্ত্র, ফুসফুসের জটিলতা বেড়েই চলেছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থায় সর্বশেষ তার শারীরিক অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত বোর্ড।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম