আর্থিক খাতে দ্রুত সংস্কারের লক্ষ্যে মুদ্রা বিনিময় হার, মুদ্রানীতি, সুদের হার ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংস্কারের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমানোর কার্যকর উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (৪ অক্টোবর) পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার হচ্ছে, কিন্তু আরও করতে হবে। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি যে পরিমাণ কমেছে এতে আমি সন্তুষ্ট নই। আরও অনেক কিছুই করার আছে।
বৈঠক শেষে আবদৌলায়ে সেক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ কিছু সংস্কার কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ফাইনান্সিয়াল স্টাবিলিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এটা ভালো। সুদের হারের ক্যাপ ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এসব সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে যদি নির্বাচনি পরিবেশ ভালো থাকে তাহলে আগামীতে প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। স্বল্প সুদের ঋণের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন তহবিলসহ বিভিন্ন স্কিম থেকে আরও ঋণ নেওয়া সুযোগ রয়েছে। দারিদ্র্য নিরসনে বাংলাদেশ ভালো করেছে। গত কয়েক বছরে প্রায় ১১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে আর ৫ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বাজেট সহায়তা দিয়েছি। আগামীতে আরও দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা পূরণে বিনিয়োগ দরকার।