যারা উন্নয়ন চোখে দেখে না তারা চোখ থাকতে অন্ধ : এমপি রতন

সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ও ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেছেন, ‘যারা উন্নয়ন চোখে দেখে না তারা চোখ থাকতে অন্ধ। যারা জেগে ঘুমায় তাদেরকে সজাগ করা সম্ভব নয়। অনেক আওয়ামী নেতা আছেন যারা বিভিন্ন লাইনে দৌড়াদৌড়ি করছেন। তাদেরকে অনুরোধ করছি বিভিন্নভাবে ঘুরাফেরা না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে অবশ্যই প্রমাণ করবো আমরাও পারি।’

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধর্মপাশা উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়ন প্রচারণায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি রতন আরও বলেন, ‘আমরা ধর্মপাশা এবং জামালগঞ্জের মধ্যে সেতুবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার টেন্ডার করতে পেরেছি। সাড়ে ১৪ কিলোমিটার উড়াল সড়কের নির্মাণের মাধ্যমে ধর্মপাশা-সুনামগঞ্জের সংযোগ দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমরা ধর্মপাশা থেকে রেললাইনে সুনামগঞ্জ যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আশা করি আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পুরণ করবেন।’

বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও প্রতিটি মেগা প্রকল্প যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেইভাবে সুনামগঞ্জ-১ আসনে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পাকা সড়ক থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার সড়ক পাকা হয়েছে। হাওর থেকে ধান আনার রাস্তা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫৩টি গ্রাম প্রতিরক্ষা দেয়াল করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

এমপি রতন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তিনবার মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমি আপনাদের হাতে নৌকা তুলে দিয়েছি। আপনারা নৌকাকে সমর্থ দিয়েছেন। পাগলের মতো ভালবেসে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছেন। হাওরে অর্থনৈতিক জোনসহ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে একাত্বতা পোষণ করেছেন। আগামীতে যদি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে পারি অবশ্যই এ স্বপ্ন অবশ্যই পুরন হবে ইনশাআল্লাহ।’

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে এমপি রতন বলেন, ‘দেখা যায় যার বাবা বিএনপির সভাপতি সেও মনোনয়ন চায়। এদেরকে নৌকার বিজয় ছিনিয়ে এনে জবাব দিতে হবে। যারা যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আমার থেকে যোগ্যতা বেশি আছে বলেই তারা প্রার্থী হয়েছেন। এ বিবেচনা করবেন আপনারা, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিসের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক জীতেন্দ্র তালুকদার পিন্টু, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনীন্দ্র চন্দ্র তালুকদার, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এহসান আলী, জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী, জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফ, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন, মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন তালুকদার, মধ্যনগর বণিক সমিতির সভাপতি অমরেশ চৌধুরী, সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা, ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন, মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মারজানা ইসলাম সিদনা, তাহিরপুর যুব মহিলা লীগের সভাপতি আইরিন আক্তার, ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকরাম হোসেন প্রমুখ।