ডিমের মূল্যবৃদ্ধি : দশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ানোর সাথে জড়িত ছয় কোম্পানি ও চার বাণিজ্যিক অ্যাসোসিয়েশনের (সমিতি) বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন।

এর আগে পণ্যটি নিয়ে কারসাজি করায় চার প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির নামে করা মামলার শুনানি এখনো চলমান রয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কমিশনের একটি অনুসন্ধানী দল বাজার থেকে ডিমের মূল্যবৃদ্ধির তথ্যসংগ্রহ করে। সেখানে উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র। ডিমের দাম বাড়ার পেছনে ছয় কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্ট চার সমিতি জড়িত। তারা এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের দাম নির্ধারণ করে। এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্রেতার পকেট থেকে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই কাজী ফার্মস লিমিটেড, প্যারাগন পোলট্রি লিমিটেড, ডায়মন্ড এগ লিমিটেড, পিপলস পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড, নাবা ফার্ম লিমিটেড, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, পোলট্রি প্রফেশনালস বাংলাদেশ (পিপিবি) ও ইউনাইটেড এগ সেল পয়েন্টের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, কারসাজি চক্রের দাম বাড়ানোর ঘটনা মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে চিহ্নিত করা হয়। বিসিসির অনুসন্ধানী দল বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। তদন্তে এসেছে, বেশকিছু কোম্পানি ও তাদের সংশ্লিষ্ট সমিতি যোগসাজশের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বাড়তি মুনাফা করেছে। অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ থাকায় মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিমের বাজারে অস্থিরতার কারণে সিপি, প্যারাগন, কাজী, ডায়মন্ড এগ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। সেই মামলার শুনানি এখনো চলমান রয়েছে।