সিলেটের ওসমানীনগরে কুরুয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।
খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
জানা যায়, কুরুয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীর দুপুর সাড়ে ১২টায় স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় কাপন খালপাড় গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে মুহিবুর রহমান ও একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শাকিল আহমদ ছাত্রীর সাথে অশালীন আচরন করে এবং মারধর করে। ছাত্রীর পিতা খবর পেয়ে তার আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থল এসে মেয়েকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। ছাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তার পিতা।
ছাত্রীর পিতা আরও জানান, তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে মুহিবুর রহমান ও শাকিল আহমদ উত্যক্ত করে আসছিল। তিনি বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের কাছে বিচার দিয়ে কোন প্রতিকারও পাননি।
এদিকে ছাত্রীর নির্যাতনের খবর কুরুয়া স্কুলে পৌঁছলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
ছাত্রীর পিতা নেছার আলী জানান, আমার মেয়েকে ওরা দীর্ঘ দিন থেকে সমস্যা করে আসছিল। আমি স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের কাছে বিচার দিয়ে এর প্রতিকার পাইনি। আজ মঙ্গলবার তারা আমার মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। চিকিৎসা শেষে আমি মামলা করবো।
কুরুয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাসলিমা সুলতানা বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রী নির্যাতনের খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। স্কুল কমিটির নেতৃবৃন্দ ও থানার পুলিশ তাদের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
ওসমানীনগ থানার ওসি মাকছুদুল আমীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হলে আমরা গুরুত্বের সাথে এর বিহীত ব্যবস্থা নিবো।’