ধর্মপাশায় বীর নিবাস নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ৯টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজ ১৮ মাসেও শেষ হয়নি। এর মধ্যে দুটি বীর নির্বাস নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করায় দুটি ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার।

এদিকে দীর্ঘ ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের উদ্যোগে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বীর নিবাস কাজের সাথে জড়িত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনকে অভিযুক্ত করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জব্বার বিল্ডার্স এর লাইসেন্স বাতিলসহ তার শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির তালুকদার, জহুর আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের উপদেষ্টা শামীম আহমেদ মুরাদ, সভাপতি সরফরাজ আহমদ খান পাঠান, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন তালুকদার। মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫৯ টাকা ব্যয়ে ৯টি বীর নিবাস নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স জব্বার বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার মঞ্জুরুল হক সুজন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলেছি।’

ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৬টি বীর নিবাসের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি তিনটির কাজ চলমান রয়েছে। স্মারকলিপি পেয়েছি এবং তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’