শান্তিগঞ্জের পশ্চিম পাগলার কাঁদিপুর গ্রামের যুবক সেলিম আহমদকে রামদা’র কুঁপে গুরুতর আহতের ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে ৯ জনকে আসামী করে আহত সেলিম মিয়ার চাচাতো ভাই কাদিপুর গ্রামের আব্দুর নুর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ইনাতনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে ফয়াজ মিয়া (৫০), কাদিপুর গ্রামের মৃত দুরু মিয়ার ছেলে সুন্দর আলী (৪৫), নিজাম উদ্দিন (৩০), বিরাম উদ্দিন (৩৭), নুর আলী, মৃত রাছাব উদ্দিনের ছেলে আফাজ উদ্দিন (৬০), মৃত জব্বার আলীর ছেলে মনর আলী (৫৭), মৃত নুর মিয়ার ছেলে রেনু মিয়া (৩৬) ও মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে নুরুল হক (৪২)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সেলিম মিয়ার বাড়ির রাস্তায় সরকারী বরাদ্দে মাটি কাটানোকে কেন্দ্র করে গুরুতর আহত সেলিম মিয়ার সাথে বিবাদী পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে বিবাদি পক্ষ সংঘবদ্ধভাবে সেলিম আহমদের বাড়ির সামনে তাকে একা পেয়ে হামলা চালায়। এসময় সেলিম আহমদের মাথায় রামদা দিয়ে কুপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এছাড়া সংঘবদ্ধ হামলায় এসময় সেলিম মিয়ার বাম চোখে লাটি দিয়ে আঘাত করায় বাম চোখেও গুরুতর আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা সেলিম আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজল বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, ‘হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’