সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে দেশের তরুণ সমাজ আজ দিশেহারা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যারা নতুন ভোটার হয়েছিলেন সেই তরুণরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ও মেধাবী তরুণ আজ কর্মহীন হয়ে হতাশাগ্রস্ত। আমাদের এই মেধাবী তরুণদের বাঁচাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে একটি দেশ চলতে পারে না।
তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। আাগামী ৯ জুলাই সিলেটের সর্বস্থরের তরুণরা সরকারের প্রতি অনাস্থা জানাবে। দেশকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
শুক্রবার (০৭ জুলাই) বিকেলে আগামী ৯ জুলাই সিলেটে তারণ্যের সমাবেশ সফল করতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ক্বীন ব্রিজের দক্ষিণপ্রান্তে প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দক্ষিণ সুরমার মারকাজ পয়েন্ট থেকে প্রচার মিছিল ও লিফলেট বিতরণ শুরু হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, এই সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা ঘরে ঘরে চাকুরী দেবে বলে তরুণ ভোটারদের সাথে প্রতারণা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই সাড়ে ১৪ বছরে সরকার দলের কর্মী ব্যাতিত কোন মেধাবী তরুণ চাকরি পায়নি। কর্মসংস্থান না হওয়ায় দেশের তরুণ সমাজ আজ হতাশার সাগরে নিমজ্জিত। তাই দেশে চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে তরুণ সমাজকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইকবাল বাহার চৌধুরী, গোলাম রাব্বানী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, এড. মোস্তাক আহমদ, জালাল খান, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, শাহীন আলম জয়, আলাউদ্দিন আলাই, সুমেল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ খাঁন, বদরুল ইসলাম জয়দু, জিলা মিয়া মেম্বার, আজমল আলী, হাজী আসাদ উদ্দিন, অলিউর রহমান অলি, এনামুল হক ইকবাল, আপ্তাব উদ্দিন, ছৈইল মিয়া, ডা. এনামুল হক, আব্দুল হাই মাসুক, মাসুম আলম, আফতাব উদ্দিন, আশরাফুল আলম বাহার, আব্দুল মালিক মল্লিক, সাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতা, এনামুল হক মাক্কু, ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলাম উদ্দিন, সুহেল ইবনে রাজা, আনোয়ারুল ইসলাম, শাহ আলম, সাইফুল ইসলাম সেফুল, ফয়জুর রহমান বিলাল, সাদেক আহমদ, মো. শামীম আহমদ, আব্দুল মজিদ, পাবেল রহমান, দিলোয়ার হোসেন, রায়হানুল হক, মাসুম মেম্বার, মো. আশিক, আসাদ মিয়া রুকন, ওলিউর রহমান, আব্দুল খালিক, রুশন মিয়া, বদরুল ইসলাম, মাসুম পারভেজ, সুমন আহমদ বিপ্লব, হেলাল আহমদ মামুন, আলী মেম্বার, নাহিদ মিয়া, রিফল আহমদ, আল আমিন, জুয়েল আহমেদ, নাছিম আহমদ, ফয়সাল আহমদ, আখতার হোসেন, রাসেল আহমেদ, সৈয়দ সাইফুর রহমান, নাসিম আহমদ, এনামুল হক, শামীম আহমদ মাসুম, রায়হান আহমেদ, লায়েক আহমদ, জাহেদ আহমদ, ইমরান নীল, ফয়জুর রহমান প্রমুখ।