পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের প্রিয় এ আধ্যাত্মিক নগরীকে একটি আদর্শ ও স্মার্ট সিটি হিসাবে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মেয়র কাউন্সিলর এবং নগরবাসী, এ তিনপক্ষের পারস্পরিক সহযোগীতায় সিলেট মহানগরীকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সিলেটে আমরা এমন একজন মেয়র পেয়েছি যার সাথে সরকারের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ্বাস তিনি পারবেন এই সিলেটকে উন্নয়নের মাধ্যমে তিলোত্তমা নগরে পরিণত করতে।’
মঙ্গলবার (২৭ জুন) নগরীর ধোপাদিঘির পারের হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানে তার উদ্যোগে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন সৎ ও যোগ্য মেয়র উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাউন্সিলর হিসাবে এবার যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও প্রত্যেকেই যোগ্য জনপ্রতিনিধি। আপনারা নগরবাসীর সব সমস্যা সমাধান করে তিলোত্তমা সিলেটের স্বপ্ন পুরণ করতে সক্ষম হবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন : বিদেশিরা সুন্দর কথা বলে একটা দেশকে ধ্বংস করে দেয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি তার বক্তব্যে নৌকাকে বিশাল ব্যবধানে জয়ী করায় নগরবাসীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘একটি তিলোত্তমা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছেন। নগরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। এ কাজে সবার সহযোগীতা প্রয়োজন। বিশেষ করে সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সহযোগীতা একান্তই প্রয়োজন। আমরা সবাই মিলে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে সিলেট নগরীর জন্য কাজ করবো।’
আরও পড়ুন : সিলেট জেলা ও মহানগরে এবার ৩০২৩টি ঈদের জামাত
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি ড. আহমেদ আল কবির, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদ, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েস, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশু দাস মিঠু, তাতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, মৎসজীবী লীগের সভাপতি মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ।
আরও পড়ুন : শাল্লায় সংঘর্ষে গেল দুইজনের প্রাণ, পুলিশসহ ২০ জন আহত
কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্যে রাখেন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, বিক্রম কর সম্রাট, এ কে এ লায়েক, শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল, রেজওয়ান আহমদ, সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ, জগদীশ চন্দ্র দাস, মখলিছুর রহমান কামরান, তারেক উদ্দিন তাজ, আব্দুর রকিব বাবলু, সিকন্দর আলী, সান্তনু দত্ত সন্তু, নজরুল ইসলাম মুমিন, ছয়ফুল আমিন বাকের, আব্দুল মুহিত জাবেদ, রাশেদ আহমদ, এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জল, এস এম শওকত আমিন তৌহিদ, আজাদুর রহমান আজাদ, আব্দুর রকিব তুহিন, ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, মোস্তাক আহমদ, হুমায়ুন কবির সুহিন, তাকবির ইসলাম পিন্টু, তৌফিক বকস লিপন, আব্দুল জলিল নজরুল, রায়হান আহমদ, মাজহারুল ইসলাম শাকিল, রকিব খান, নজমুল হোসেন, রুহেল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন নাদিম, জয়নাল আবেদিন, জাহাঙ্গীর আলম, হিরন মাহমুদ নিপু, রিয়াজ মিয়া, মো. হেলাল উদ্দিন, আলতাফ হোসেন সুমন, ফখরুল আলম, মতিউর রহমান, সালমা সুলতানা, কুলসুমা বেগম পপি, রেবেকা বেগম রেনু, রুহেনা বেগম মুক্তা, শাহানা বেগম শানু, শাহানারা বেগম, নার্গিস সুলতানা রুমি, শারমিন আক্তার রুমি, ছমিরন নেছা, আয়শা বেগম কলি, সাজেদা বেগম, হাজেরা বেগম, ফাতেমা বেগম, বাবলি আক্তার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিনী সেলিনা মোমেন ও সিটি করপেরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সহধর্মিনী হলি চৌধুরী।