কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরের আগেই ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। রবিবার (২৮ মে) গভীর রাতে সহিংসতায় এক পুলিশকর্মী-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ১২ জন। রাজধানী ইম্ফল-সহ একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি।
রাজ্যটির সংঘাতপীড়িত এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সোমবারের সফর শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজ্যজুড়ে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৮০ জনের। গতকালের সহিংসতায় আহত হন ১২ জন। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সহিংসতার জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেন।
এনডিটিভি জানায়, অস্ত্র হাতে থাকা ‘সন্ত্রাসীরা’ সেরু ও সুগুনু এলাকায় অনেক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক দিনে ৪০ ‘সন্ত্রাসীকে’ গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এম-১৬ ও একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল ও স্নাইপার বন্দুক ব্যবহার করছে। তারা অনেক গ্রামে এসে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীসহ অন্য বাহিনীগুলোর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। আমরা গুলিতে ৪০ জনের মতো সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ইম্ফল উপত্যকার উপকণ্ঠে গত দুই দিনে সহিংস হামলা পরিকল্পিত মনে হচ্ছে।
মণিপুরে আজ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে অমিত শাহর। তিনি সংঘাতে লিপ্ত মৈতেয় ও কুকি উভয় সম্প্রদায়কে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
মণিপুরজুড়ে এপ্রিল থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যটিতে তফসিলি সম্প্রদায় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে মৈতেয়রা দাবি জানায়। এর মধ্য দিয়ে করে তারা কোটাসহ বনের জমিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন এর প্রতিবাদ করলে সহিংসতা শুরু হয়।
দুই সম্প্রদায়ের সহিংসতা প্রতিরোধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কারফিউ আরোপের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সরকার।