সুনামগঞ্জের শাল্লায় এনজিও সংস্থা নামে পরিচিত ‘স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার কান্দখলা গ্রামের সীতা রানী দাস।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুর দু্ইটায় ২৮জন ভুক্তভোগীর লিখিত সম্মতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এ অভিযোগটি দায়ের করা হয়।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ‘স্মাট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ এর শাল্লা ব্যবস্হাপক উপজেলা গোবিন্দপুর গ্রামের ঝলক চন্দ্র দাশ বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ঘর, নলকূপ, সেলাই মেশিন, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
শাল্লা কলেজ রোডে অবস্থিত তাদের অফিস গিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কান্দখলা গ্রামের সেবিকা রানী দাশ বলেন, ‘প্রতিষ্টানটির কর্মী ঝলক দাশ আমাদেরকে লোভ-ললসা দেখিয়ে, ঘরবাড়ি, হাঁস-মুরগি ও চিকিৎসা বাবত টাকা দেবে বলে প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে ১২’শ টাকা নিয়ে যায় তারা। আমরা গ্রামের সহজ সরল মানুষ না বুঝে ঝলকের দেখানো লোভে পড়ে যাই। তিনি বলেন ঝলককে এখন খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
ভুক্তভোগী দীপ্তি রানী দাস বলেন, ‘ঝলকে দাশ আমরারে কইছে হাস দিব, ছাগল দিব, ঘর দিব ও কল (টিউবওয়েল) দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ২৪’শ টাকা নিছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই প্রতারকের ও ভূঁইফোড় কোম্পানির বিচার চাই।’
জানা যায় এনজিও সংস্থার নামকরে ২০২০ সালে স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে শাল্লায় কলেজ রোডে ইছাক মিয়ার বিল্ডিংয়ে একটি অফিস কক্ষ ভাড়া নেন শাল্লা শাখার ব্যবস্হাপক ঝলক চন্দ্র দাশ। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক তৈরি করে প্রতিষ্টানটি। এতে ঝলক দাশসহ দশ থেকে বারো জনের একটি স্ট্যাফ ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিকভাবে শুধু গ্রাহক ভর্তি ফ্রি হিসেবে ‘Money Receipt’ নামে একটি স্লিপে প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ১২’শ করে টাকা নেন স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের শাল্লা শাখার ব্যবস্থাপক ঝলক চন্দ্র দাশ। শুধু তাই নয় সদস্য ভর্তি করেই তারা গ্রাহকদেরকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে।
তবে অভিযুক্ত ঝলক চন্দ্র দাশের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব উপস্থিত ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিষয়টি আমি আগে থেকেই জানি। নোটিশ জারি করে অভিযুক্ত ঝলক দাশকে আমার অফিসে ডাকা হবে। তিনি আরো বলেন, ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম