বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ক্ষমতার মালিক বিদেশিরা নয়, বরং মালিক হলো দেশের জনগণ। সুতরাং ক্ষমতায় বসাতে হলে বসাবে দেশের জনগণ। তিনি বলেন, বিদেশিরা ক্ষমতায় বসাবে এমন অসম্ভব চিন্তা আওয়ামী লীগ করে না।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলুর (ফারুক) মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফারুকের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র আমার কাছে ভালো লেগেছে। তিনি ভালো লাগার মতোই নায়ক ছিলেন। তার লাইফটা ছিল কালারফুল। একদিকে ভালো নায়ক অন্যদিকে রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ।
তিনি বলেন, নায়ক ফারুক ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু তাকে খুবই ভালোবাসতেন এবং পছন্দ করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করেছিলেন। পরে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল, পাহাড়ের মতো অনড় এবং আপসহীন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তিনি তার এলাকাবাসীর জন্য কিছু করতে পারেননি। তার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে যান। শেষে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতলে কোমায় ছিলেন।
শেষ স্মৃতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, কিছুদিন আগে টেলিফোনে তার গলার স্বর শুনতে পেয়েছিলাম। তখন আমি ভেবেছিলাম খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসবেন। তিনি ফিরেও এসেছেন, কিন্তু জীবিত হয়ে না, লাশ হয়ে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করা হয়। শুরুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক ফারুকের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পক্ষে তার সামরিক সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ফারুককে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। তারপর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা জানান। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ মিয়া ভাইকে শ্রদ্ধা জানায়।