সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে তুচ্ছ বিষয়ে ঈদের দিনে খুনের ঘটনা ঘটেছে। দুইপক্ষের তুমুল সংঘর্ষে মো. আবুল কাশেম (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত এবং পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের জামাত শেষে গ্রামের দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুইজন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে।
নিহত মো. আবুল কাশেম মাইজখলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খালের দুই পাড়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ১৫ জনকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে এক শিশুর জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহ’র (৪৫) সাথে একই গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমানের (৩৫) কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালের দুই পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পতিত জমির ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ২ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে জালাল শাহ’র পক্ষের মো. আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকেলে আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া উভয়পক্ষের আহতদেরকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- জালাল শাহ’র পক্ষের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৩৫), মো. সুমন মিয়া (২৫), হেলাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২০), শাহ নেওয়াজের ছেলে মরম শাহ (৩৫), মিলন মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৫), মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে আয়াত আলী(৩২), অপর পক্ষের আব্দুর রউফের ছেলে রনি মিয়া (২২), মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রউফ (৫০), আমিনুল হক (৩৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে অজুদ মিয়া (৩৮), মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নাফ, আব্দুর রশিদ (৬৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) প্রমুখ।
ঘটনার পর সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর জানান, উভয়পক্ষের ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।