রোজা শুধু ধর্মীয় বিধিবিধানের অংশ, তা নয়। এটি বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যনীতিরও একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে। এর রয়েছে দৈহিক ও মানসিক উপকারিতাও।
রোজার দৈহিক উপকারিতা
রোজা থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এতে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ও চর্বি কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিন কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায়।
দেহকে বিষমুক্ত করার একটি কার্যকরী উপায় হলো রোজা। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারা সহজেই এ সময়টা কাজে লাগাতে পারেন। কারণ, রোজা রাখার পাশাপাশি ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের প্রাধান্য দিলে খুব সহজেই এ সময়ে আপনি নিজের ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।
রমজানে নিয়মিত রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। কারণ দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার বদভ্যাস আছে, তারা এ নিয়মিত রোজা রাখার কারণে এই বদভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া যেকোনো নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি পেতে রোজা একটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রোজার মানসিক উপকারিতা
রোজা যেহেতু ধর্মীয় একটি ইবাদত তাই নিয়মিত রোজা রাখার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করা যায়। এ সময় স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়, যা ব্রেনের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়া দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার অভ্যাসে আমরা সঠিক পথে চলার শক্তি পাই। দীর্ঘসময় নিজেকে সংযত রাখার কারণে আমরা সহজেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি।
নিয়মিত রোজায় ও ধর্মপথে থাকায় মানুষ নিজের আত্মপর্যালোচনা এবং চিন্তা-চেতনাকে উন্নত করার সুযোগ পায়।
রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীর নানা ধরনের চাপ নিতে সক্ষমতা অর্জন করে। ফলে রোজাদার ব্যক্তি কখনো খিঁচুনি এবং মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয় না।