দেশের সপ্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ঈদের পর।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেতের নিয়োগপ্রাপ্তির দুই বছর পূর্ণ হয়েছে বুধবার (২২ মার্চ)। ২০২১ সালের ২২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেতকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাদৈ এলাকায় দুটি ভাড়া করা ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইতোমধ্যে ৩টি অনুষদের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তির দুই বছর পূর্তিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত জানান, ‘আগামী ঈদের বন্ধের পর দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো আমরা। মন্ত্রী মহোদয়রা যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থাকবেন। আর ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা নির্ধারণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই বাছায়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য অস্থায়ী আবাসিক হলের অনুমোদন চেয়ে আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চল খ্যাত বৃহত্তর সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায় দেশের সপ্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনগত অনুমোদন হয় ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে বিশাল জনসভায় জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চারটি বড় দাবি উপস্থাপন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি। উপস্থাপিত চারটি দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি।