কথা-কাটাকাটির জেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯টায় শাহপরাণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান ও ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীনের গ্রুপে অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এতে মেহেদী হাসান স্বাধীন গ্রুপের এক অনুসারী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা হলের ভেতর কয়েকবার অস্ত্রের মহড়া দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৪টা থেকে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের তাদের ব্যাচের ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের জন্য মাঠ প্রস্তুতের জন্য কাজ করছিলেন। সন্ধ্যার পর খেলার মাঠের গ্যালারীর দক্ষিণ পাশের একটি জায়গায় রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইফাত এবং সে তার প্রেমিকাকে নিয়ে দাড়িয়েছিলেন। এসময় পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও সজীবুর রহমানের অনুসারী রাফিউম মিলিনিয়াম ও সাব্বিরসহ তার অন্যান্য সহপাঠীরা ইফাতদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ইফাত তার বন্ধু ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও মেহেদী হাসান স্বাধীনের অনুসারী ফারদিন কবিরকে কল দেন এবং তাদেরকে আসতে বলেন। পরবর্তীতে ফারদিনের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন এসে মিলিনিয়াম ও তার সহপাঠীদের মারধর করেন। পরে তাদেরকে তাড়া করে হলে পাঠান। পরবর্তীতে সজীবের সমর্থকরা শাহপরাণ হলে গিয়ে ফারদিনকে মারধর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীন গ্রুপের অনুসারী ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফারদিন কবীর বলেন, তিনি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে এই মুহূর্তে কথা বলতে ইচ্ছুক নন তিনি।
সজীবুর রহমান গ্রুপের রাফিউম মিলেনিয়াম বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সজীবুর রহমান গ্রুপের অনুসারী মিলেনিয়াম ও তার সহপাঠীরা মিলে টুর্নামেন্টের জন্য মাঠে কাজ করছিল। এমন সময় একজন মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে চাইলে আমরা মানা করি। পরে ওরা স্বাধীন গ্রুপের ফারদিন কবিরের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন তাদের ধাওয়া করে মারধর করেন।
এবিষয়ে সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “দু’পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।”
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান স্বাধীন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ঢাকায় আছি। বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানিনা।”
শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, “হলের বাহিরের ঘটনা হলে এসে ঝামেলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে।”