সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় শুরু হয়েছে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ। আর এসব কাজ করতে গিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হাওর রক্ষা বাঁধের ২২ নং সভাপতি। চাহিদামতে টাকা না দেওয়ায় নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমন বাস্তবতায় শাল্লা ছায়ার হাওরের ২২নং প্রকল্পের সভাপতি রেজু মিয়া বাদী হয়ে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত রবিবার শাল্লা থানায় এই লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
শুধু তাই নয়, উপজেলার কতিথ কয়েকজন উশৃঙ্খল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও আনন্দপুরের দুই বিএনপি নেতা আজিজ মিয়া ও কালাই মিয়াসহ একটি সিন্ডিকেট চক্র তৈরি করা হয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধের সভাপতিকে ফাঁন্দে ফেলে এই চক্রটি চাঁদাবাজির মাধ্যমে হাতিয়ে নিতে চাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। না হয় অন্যথায় মিথ্যা অভিযোগ তোলে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করা তাদের কাজ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছায়ার হাওর রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের ৪টি ক্লোজারে একটি পিআইসি গঠন করে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। এই পিআইসিটি পেতে কতিথ এক সাংবাদিক আবেদন করেন। পরবর্তীতে ওই সাংবাদিকের হাওরে কোনো জমি না থাকায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকৃত কৃষক রেজু মিয়াকে এই প্রকল্পের কাজ করতে অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই কথিত এই সাংবাদিক হাওর রক্ষা বাঁধের সভাপতি রেজু মিয়াকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এমন কি গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে বিএনপি নেতা আজিজ মিয়া ও কালাই মিয়ার যোগসাজশে মিথ্যা মানববন্ধন পালন করে গাছ কাটার অভিযোগ আনা হয়। মূলত এই বাঁধে কোনো গাছ ছিল না। কথিত ওই সাংবাদিক আক্রোশ মেটাতে সভাপতিকে হয়রানি করার জন্য এসব নাটক তৈরি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আনন্দপুরের হাওর রক্ষা বাঁধের ২২নং (পিআইসিতে) ৪টি জায়গায় ভাঙ্গা ছিল। খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। না হয় ছায়ার হাওরের ফসল অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
শাল্লা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার মিয়া জানান, সরকারি কাজে বাঁধা ও চাঁদাবাজির একটি অভিযোগ দিয়েছেন ২২ নং প্রকল্পের সভাপতি রেজু মিয়া। অভিযোগটি তদন্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা স্কিম প্রণয়ন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আবু তালেব জানান, ২২ নং পিআইসিতে গাছ কাটার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে এটি সত্য নয়। এখানে কোনো গাছ ছিল না। তবে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনন্দপুর থেকে মাদারিয়া পর্যন্ত ৭ /৮ টি ভাঙ্গা ছিল। যদি এই জায়গায় কোনো প্রকল্প দেয়া না হত তাহলে ছায়ারসহ খালিয়াজুড়ীর হাওরগুলোর ফসল থাকতো হুমকির মুখে।