সিলেটের গোলাপগঞ্জে মোঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ‘দেওয়ানের পুল’ ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সম্প্রতি ঐতিহাসিক এই সেতু বুলডোজার দিয়ে ভাঙা শুরু হয়। তবে এ নিয়ে স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সেতু ভাঙার কাজ।
প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো ‘দেওয়ানের পুল’ নামের এই সেতুটি ভাঙা হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সেতু সংলগ্ন রাস্তায় এলজিইডি এ শুনানির আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবীর জানান, পুরোনো সেতুটি ভেঙে আধুনিক যুগোপযোগী একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল এলজিইডি। পরে এ নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি হলে ভাঙার কাজ স্থগিত রাখা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের পাল্টাপাল্টি মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণশুনানি চলবে। সেখান থেকে প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ১৫ জানুয়ারি গণশুনানি আয়োজনের নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাউশা এলাকার দেওরভাগা খালে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মোগল আমলের দেওয়ানের পুল ভাঙার কাজ শুরু করে এলজিইডি। ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে মোগল আমলে নির্মিত সেতুটি ভাঙার খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেতুটি অক্ষতভাবে রক্ষার দাবি জানায়। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্দেশনায় ২৮ ডিসেম্বর থেকে সেতু ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়।