মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলায় বিজিবির দ্বায়িত্বপূর্ণ এলাকা নালাপুঞ্জি থেকে আবারও এক রোহিঙ্গা ও সাত বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও আব্দুর রাজ্জাক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে যান। খবর পেয়ে জুড়ী থানার পুলিশ ও লাঠিটিলা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সেখানে যান।
আটককৃতরা রোহিঙ্গা হলেন শরীফ হোসেন (২২)। তার পিতার নাম জাহিদ হোসেন। তিনি ১ নম্বর কুতুপালং ক্যাম্প (কক্সবাজার) রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।
আটক অন্যরা হলেন- চট্রগ্রাম হিলভিউ আবাশিক এলাকার নুর হোসেনের স্ত্রী শামসুর নাহার (৪৭), পুত্র মোহাম্মদ হোসেন (৩৫) মোহাম্মদ নুর (২০), কন্যা আমেনা আক্তার (২১) ও সামিরা আক্তার (১৭)। তাদের সাথে সাবেরি বেগম (৪) ও আরিফুল (৫) নামে দুই শিশু রয়েছে।
রোহিঙ্গা যুবক শরীফ হোসেন জানান, তিনি তার মায়ের সাথে রাগ করে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতের আগরতলায় পৌঁছে সেখান থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে চেকপোস্টে ধরা পড়েন। পরে তাকে ত্রিপুরা রাজ্যের তারেকপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিএসএফ তাকে নালাপুঞ্জি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছে।
শিশুসহ বাকি সাত বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে দুই ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর নালাপুঞ্জি এলাকা থেকে ৮ রোহিঙ্গা ও ১ বাংলাদেশিকে আটক করেছিলেন এলাকাবাসী। এই এলাকায় রোহিঙ্গাদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তিতে নেই এলাকার মানুষ। তারা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন। এলাকায় বিজিবির টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।