কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেইমারের গোলে এগিয়ে গিয়েও হজম করতে হয়েছে সমতাসূচক গোল। সেই সাথে ব্রাজিলকে হারতে হয়েছে পেনাল্টি শ্যুটআউটে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপার আশা শেষ হয়ে গেলো আরও একবার। ব্রাজিল সমর্থকরা তাই মন খারাপ করেই এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম ছেড়েছেন।
ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকরা সেলেসাও ভক্তদের টিপ্পনী কেটে বলছেন, ‘এয়ারপোর্ট দিস ওয়ে।’ ব্রাজিল সমর্থকরা একপলক তাকিয়ে মৃদু পায়ে হেঁটে চলেছেন।
সুদূর ব্রাজিল থেকে কাতারে এসেছিলেন নেইমারদের হেক্সা মিশন দেখতে। শেষ আটেই সেই মিশন শেষ হলো। এই হারকে দুর্ভাগ্য মানছেন ব্রাজিলের এক সমর্থক, ‘আমরা ভালোই খেলেছি কিন্তু জিততে পারেনি। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু নয়।’
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার পর তিনি ব্রাজিলকে সমর্থন দেবেন এই বিশ্বকাপে। একজন ল্যাটিন আমেরিকান হিসেবে এই সমর্থন থাকবে তার, জানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা বস।
ব্রাজিলের অনেক সমর্থক স্ক্যালোনির সুরেই কথা বলেছেন। রিও ডি জেনিরো থেকে আসা এক নারী সমর্থক যেমন বললেন, ‘হারলেও আমরা ব্রাজিল সমর্থকরা দলের সঙ্গেই রয়েছি। এখনো এই বিশ্বকাপ বাকি রয়েছে। আমি বাকি ম্যাচগুলো আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করব যাতে ট্রফি দক্ষিণ আমেরিকায় আসে।’
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে দ্বৈরথ হলেও দুই দলের নিজ সমর্থকরা একের বিদায়ে অন্যদের সমর্থন দেন। তবে লাতিন হয়েও ইউরোপের দল পর্তুগালকে সমর্থন দেবেন অনেকে। কারণটা যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তা আর বলে না দিলেও চলে।
তার পাশে দাড়ানো আরেক সমর্থক বললেন, ‘রোনালদোর পর্তুগালের প্রতিও আমার সমর্থন থাকবে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি।’