কুকুরের কামড় থেকে রেহাই পেতে আতঙ্কে আছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে কুকুরের উৎপাত বেড়ে যাওয়াই সকলের মনে এ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ পাঁচ জন পথচারী কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন। তবে একাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে কুকুরের দেখাশোনা করছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের আড্ডার অন্যতম স্থান গোলচত্বও, বাসস্ট্যান্ড, চেতনা-৭১, ফুডকোর্ট, ছাত্রীহল রোড, এক কিলোরোড, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরের যাত্রীছাউনিসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশপাশে কুকুর দলবদ্ধভাবে ঘোরাফেরা করছে। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদেরকে আক্রমণ করছে। ফলে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করা সংশ্লিষ্টদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কুকুর।
একাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে অনেক কুকুরের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। অনেকেই কুকুর দেখলে ভয় পান। ফলে মুক্তভাবে চলাফেরা করা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
গত রোববার কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ ক্যান্টিনের পরিচালক মো. কবির হোসেনের বাবা মো. ফজলু মিয়াকে। এ বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ এর সামনে আজ (রোববার) সকালে আমার বাবার হাঁটুর নিচে কুকুর কামড় দিয়েছে। তিনি দৌড়ে ক্যান্টিনে আসেন। পরে তাকে সিলেট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় কুকুরের আক্রমণে অনেক শিক্ষার্থী দৌড়ে ক্যান্টিনে এসে তাদের রক্ষা করেন। এটা রীতিমতো একটা ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কুকুরের কামড়ে আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিশিয়ান অজয় চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা-৭১ এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি কুকুর আমার পায়ে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে ইনজেকশন নিয়েছি। পরে ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেছি।
এছাড়া সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও কর্মচারী কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা কুকুর লালনপালন করেন। কুকুর মারা ছাড়া তো কোনো উপায় নেই। কুকুর মারলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে যান। আমরা উভয় সংকটে আছি। তবে নিরাপত্তা প্রহরীদের সবসময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছি। কুকুরকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছি।