তালা খোলা থেকে শুরু করে একটি মোটরসাইকেল চুরির কাজ সম্পন্ন করতে তার সময় লাগে মাত্র ১ মিনিট। এরপর চুরির মোটরসাইকেল পৌঁছে দেন জেলার বিভিন্ন স্থানে সহযোগীদের হাতে। এই চোর সিন্ডিকেটের মাস্টার মাইন্ড রিপন মিয়ার (৩০) নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন রিপন। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের নূর আলীর ছেলে। চুরি-ডাকাতির অভিযোগে অনেকগুলো মামলা রয়েছে তার নামে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ কার্যালয়ের একটি দল ভৈরব থানার সম্ভুপুর রেললাইন সংলগ্ন বস্তি থেকে তাকে আটক করে।
বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, রিপন কৌশলে ১ মিনিটেই মোটরসাইকেল আনলক করতে পারেন। অল্প সময়ে মোটরসাইকেল চুরির অভিজ্ঞতা তার দীর্ঘদিনের। দলবল নিয়ে হবিগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল চুরির পর দেশের বিভিন্ন জেলায় থাকা সহযোগীদের মাধ্যমে বিক্রি করতেন। আত্মগোপনে থাকতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব থানা এলাকায়।
সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলা সদর, শায়েস্তাগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা থেকে অনেকগুলো মোটরসাইকেল চুরি হয়। এরপরই র্যাব মূল হোতার সন্ধানে নামে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিপনকে ভৈরব থেকে আটক করা হয়। চুরি হওয়া মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে।
র্যাব আরও জানায়, রিপন মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন চুরি ও ডাকাতি করেন। এসব অভিযোগে থানায় তার নামে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তার চুরির জগতের নেটওয়ার্ক। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেছেন। পরে রিপনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।