চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার ব্যাপক হামলার পর দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ এখন আর মেটানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির বিদ্যুৎ কোম্পানি ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, অবকাঠামো মেরামত করাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে তারা; কিন্তু এখন এ কাজে আরও বেশি সময় লাগছে।
রাজধানী কিয়েভসহ ১৫টি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি না থাকায় পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত কঠিন’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার লিথুয়ানিয়ায় এক সম্মেলনে ভিডিও লিঙ্কে যোগ দিয়ে জেলেনস্কি রুশ তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য ইউরোপের নেতাদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয়দের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। এ বছর আমাদের এক নম্বর মিশন হলো ইউরোপীয়দের ঐক্য।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে, তারা দেশজুড়ে স্থাপিত ৪০০০ হাজার কেন্দ্রে অস্থায়ী তাঁবুতে তাপের ব্যবস্থা করে মানুষকে শীত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। লোকজন এসব তাঁবুতে ফোনে চার্জ দিতে পারবে আর চা-কফি পানের সুযোগ পাবে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আগে রাশিয়ার ব্যাপারে নিজের নীতি নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তিনি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনকে প্রভাবিত করার মতো ক্ষমতা তাঁর ছিল না। পুতিন শুধু ক্ষমতাকেই বিবেচনায় নেন বলেন তিনি।
অন্যদিকে ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাতে পোল্যান্ডের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মানি। বৃহস্পতিবার বার্লিন পরিস্কার করে বলে দিয়েছে, এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত এলাকায় ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য। রাশিয়ার দাবি পূরণ করে ইউক্রেন তাদের জনগণের এ দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছে মস্কো।