শুরু থেকে ইনজুরির কারণে বাঁহাতি ইংলিশ পেইসার রিস টপলির বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। আরেক বাঁহাতি পেইসার ডেভিড উইলি স্কোয়াডে থেকেও মাঠে নামতে পারেননি কোনো ম্যাচে। দুই বোলারের পরিবর্তে বিশ্বকাপের শুরু থেকে ইংল্যান্ডের একাদশে নিয়মিত মুখ হিসেবে দেখা গেছে বাঁহাতি পেইস বোলিং অলরাউন্ডার স্যাম কারানকে।
টুর্নামেন্টের শুরুর ম্যাচটি ছাড়া খুব একটা আলোচনায় আসা হয়নি তার কখনই। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে আলোচনায় আসেন।
বিশ্বকাপের বাকিটা সময় জস বাটলার, বেন স্টোকস, অ্যালেক্স হেইলসদের ভিড়ে আলোচনার অন্তরালে থেকে গেছেন সব সময়। তবে সবচেয়ে বড় ম্যাচে আবারও জ্বলে ওঠেন এ সিম বোলিং বিশেষজ্ঞ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে অল্পতে আটকে দেয় তার নিয়ন্ত্রিত সিম বোলিং। ফাইনালে ১৩ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন কারান। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। এরপর একে একে তুলে নেন থিতু হয়ে বসা শান মাসুদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজকে।
ইংল্যান্ডের ম্যাচ জয়ের অন্যতম কারিগর বেন স্টোকসকে টপকে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও বাগিয়ে নেন তিনি। আর সবাইকে অবাক করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বা সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি না হয়েও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও যায় তার ঝোলায়।
তবে ম্যাচ সেরার কৃতিত্বটা নিজে নিতে নারাজ কারান। বেন স্টোকস এই পুরস্কারের দাবিদার বলে ম্যাচ শেষে মন্তব্য করেন তিনি।
কারান বলেন, ‘আমি মনে করি না আমার এটা পাওয়া উচিত। যেভাবে বেন আজ খেলেছে! আমরা এই জয় উপভোগ করব। এটা খুবই স্পেশাল। অনেকে স্টোকসকে নিয়ে আগে প্রশ্ন তুলেছে। তাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সে দারুণ একজন খেলোয়াড়।’
বিশ্বকাপে ১৩ উইকেট পেয়েছেন কারান। সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর সর্বোচ্চ রান করেছেন ভারতের সুপারস্টার ভিরাট কোহলি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ ম্যাচে ২৯৬ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এর আগে এক আসরে আরপি সিং ও জহির খান পেইসার হিসেবে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেন। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কারান প্রথম বোলার যিনি কিনা ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছেন একসঙ্গে।