সব কিছু হচ্ছিল সমান্তরালে। শুরু থেকে বোঝার উপায়ও নেই যে, ক্রিকেট দেবতা আসলে কী চাচ্ছেন। কিন্তু আপনি যদি ক্রিকেটের পাঁড় ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ১৯৯২ বিশ্বকাপের সমান্তরালে ঘটে যাওয়া ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখবেন এবার!
নিউজিল্যান্ড যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। নকআউটের পূর্বে হারও ছিল মাত্র একটি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ঘটেছে তাই। ঠিক পাকিস্তানের দিকেও যদি তাকানো যায়, তাহলে দেখবেন ত্রিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি আছে এখানেও। এক দল (নিউজিল্যান্ড) গ্রুপের চূড়ায় ছিল- নিউজিল্যান্ড। আর আরেক দল (পাকিস্তান) খোঁড়াতে খোঁড়াতে উঠেছে সেমিফাইনালে।
এর পর তো বাকিটা ইতিহাস। ১৯৯২ সালেল ২৫ মার্চ সবার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। যা ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে আছে মিরাকল অব নাইন্টি টু নামে। এবারও কি মিরাকল ঘটতে যাচ্ছে?
এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভাগ্যও সুপ্রসন্ন বলা চলে। বিশেষ করে বিশ্বকাপ নকআউটে যখন তারা নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। এখন পর্যযন্ত ৩বার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে। প্রতিবারই জয়ের হাসি হেসেছে পাকিস্তান। তার মধ্যে ১৯৯২ ও ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আর ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
তবে সব কিছু যে ভাগ্যলিপি মেনে চলে না সেটা ভালো করেই জানা আছে পাকিস্তানের মেন্টর ম্যাথু হেইডেনের। তিনি মনে করেন, ‘জানি পাকিস্তানের দলটা নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে এসেছে। গত বিশ্বকাপেও আমরা সেমিফাইনালে অপরাজিত থেকে খেলেছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া আমাদের বিদায় দিয়েছে। তাই আমি এটা বিশ্বাস করি, ভালো কিছু করতে আমাদের সেরাটা দেওয়া প্রয়োজন। আর এটাই প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে।’
১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ চারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই পাকিস্তান ফাইনালে খেলেছিল। শিরোপা মঞ্চে পরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। পাকিস্তানের মিরাকল অব নাইন্টি টু প্রসঙ্গ উঠতেই কেন উইলিয়ামসন কিন্তু মন্তব্য করলেন ভিন্নভাবে, ‘তখন আমার বয়স দুই বছর। তবে এটা মনে রাখা উচিত নিউজিল্যান্ডেরও কিন্তু সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাস রয়েছে। বেশ কিছু মূল্যবান মুহূর্ত আছে।’
প্রথম সেমিফাইনালে দল দুটি মুখোমুখি হবে বুধবার দুপুর ২টায়। ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস।