সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার বুঝে গেছে এবার তাদের আর রেহাই মিলবে না। তাই গুম, খুন, মামলা-হামলা, লুটপাট, টাকা পাচার আর মহাদুর্নীতির কালযাত্রা যবনিকাপাত ঘটতে চলেছে। তাদের পতন অনিবার্য।
তিনি বলেন, সিলেটের মানুষও এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নেমেছে। বন্দুকের নল, কোনো রক্তচক্ষু বাধা বিপত্তি তাদেরকে প্রতিহত করতে পারবে না। আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশে জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার নামবে।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আল মাহমুদের সভাপতিত্বে, আহাদুর রহমান কামরুল ও জাহাঙ্গীর আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট হাসান পাটওয়ারী রিপন, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এডভোকেট মামুন আহমদ রিপন।
সভায় বক্তারা আগামী ২০ নভেম্বরের গণসমাবেশ সফল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিএনপির মুক্তির গনসমাবেশে মানুষ আসছে বন্যার স্রোতের মতো। গাড়ি আটকে দিলে আসছে নৌপথে। নৌপথে বাঁধা দিলে হেটে রওনা দিচ্ছে। সাতরে পার হচ্ছে নদী। রাস্তা বন্ধ করে দিলে বিল মাঠ পেরিয়ে আসছে, হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিলে না খেয়ে থাকছে। সিলেটের গণসমাবেশেও জনতার ঢল নামবে ইনশাআল্লাহ।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা ছালেহ আহমদ গেদা, শাহেল আহমদ, আব্দুল কাদির সেলিম, বাছিতুর রহমান বাছিত, নিজামুল কাদির লিপন, জাকির হোসেন, সাহিন আল মামুন, জেবুল আহমদ, সেবুল আহমদ, জাকারিয়া সাহজাহান, সেনাম উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, জিল্লুর রহমান খান, রুমেল আহমদ চৌধুরী, বাঘা ইউনিয়ন যুবনেতা মোর্শেদ আহমদ, হুসেইন আহমদ, কামরুল ইসলাম, আবুল হাসনাত, তাকমী, জাহেদ আহমদ, শাহরিয়ার মতিন অভি, জাকারিয়া শাহজাহান, কাইয়ুম, রুম্মাদ আহমদ, তামিম, সুমন, আফজল, জাকির, তাহেল, তারেক, সুহিন প্রমুখ।